কীভাবে অর্ডার করবেন, স্টারলিংক বাংলাদেশ খরচ, মাসিক ফি ও আরও তথ্য
স্টারলিংক (Starlink) হল এলন মাস্কের স্পেসএক্স (SpaceX) প্রতিষ্ঠানের একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা, যা বিশ্বব্যাপী উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য স্বল্প-কক্ষপথে (low-earth orbit) হাজার হাজার স্যাটেলাইট ব্যবহার করে। বাংলাদেশে স্টারলিংক-এর আগমন নিয়ে অনেক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। এখানে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে স্টারলিংক অর্ডার করবেন, খরচ কত, এবং মাসিক ফি সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
📦 কীভাবে স্টারলিংক অর্ডার করবেন?
বাংলাদেশে স্টারলিংক সেবা এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি, তবে আপনি প্রি-অর্ডার করতে পারেন। এটি করার জন্য:
- স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান:
https://www.starlink.com - ঠিকানা দিন:
আপনার অবস্থান অনুযায়ী সার্ভিস পাওয়া যাবে কি না তা চেক করার জন্য ঠিকানা দিতে হবে। - ডিপোজিট দিন:
সাধারণত $99 ডিপোজিট দিতে হয় (ফেরতযোগ্য), যা সার্ভিস উপলব্ধ হলে পূর্ণ অর্থ হিসেবে গণ্য হবে। - প্রসেসিং ও ইনস্টলেশন:
সার্ভিস চালু হলে আপনাকে পূর্ণ কিট (dish, router ইত্যাদি) পাঠানো হবে।
💰 খরচ ও মাসিক ফি
এখানে সাধারণ খরচের একটি ধারণা দেওয়া হলো, যদিও বাংলাদেশে এটা কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে:
খরচের ধরণ | আনুমানিক মূল্য (USD) | মন্তব্য |
---|---|---|
প্রাথমিক কিট (Hardware) | $499 | ডিসি, রাউটার, স্ট্যান্ড ইত্যাদি |
ডিপোজিট | $99 | প্রি-অর্ডার করার সময় |
মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি | $110 | প্রতি মাসে ইন্টারনেট সেবার জন্য |
শিপিং ও হ্যান্ডলিং | $50-$100 | অবস্থান অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে |
বাংলাদেশে এই দাম কিছুটা ভিন্ন হতে পারে শুল্ক বা ভ্যাটের কারণে।
🌐 গতি ও পারফরম্যান্স
স্টারলিংক বর্তমানে ৫০ Mbps থেকে ২০০ Mbps পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড এবং ২০-৪০ ms ল্যাটেন্সি প্রদান করে। এটি গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলের জন্য খুবই কার্যকর যেখানে ফাইবার বা মোবাইল ইন্টারনেট অনুপলব্ধ বা দুর্বল।
📅 বাংলাদেশে সেবা চালুর সম্ভাব্য সময়
স্টারলিংক বাংলাদেশে পরিষেবা চালু করার জন্য ইতিমধ্যে আবেদন করেছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC) থেকে এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি (শেষ আপডেট: মে ২০২৫)। অনুমোদন পেলে ২০২৫ সালের মধ্যেই চালু হতে পারে।
✅ স্টারলিংকের সুবিধাসমূহ
- দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত ইন্টারনেট
- সহজ সেটআপ (DIY)
- নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ (বৃষ্টি বা দুর্যোগে তুলনামূলক স্থিতিশীল)
⚠️ কিছু সীমাবদ্ধতা
- উচ্চ মূল্য (বিশেষত প্রাথমিক হার্ডওয়্যার খরচ)
- ওভারহেড অবজেক্ট বা গাছ থাকলে সিগনাল ড্রপ হতে পারে
- লাইসেন্সিং ও রেগুলেটরি বাধা (বাংলাদেশে এখনো অনুমোদিত নয়)
বাংলাদেশে এখন স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করে ঘরে বসেই আপনি এই সেবা গ্রহণ করতে পরবেন।
বাংলাদেশে এখন স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করে ঘরে বসেই আপনি এই সেবা গ্রহণ করতে পরবেন।
স্টারলিংক ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার ধাপসমূহ:
১. স্টারলিংক ওয়েবসাইটে (starlink.com) যান।
২. আপনার ঠিকানা দিন: আপনার সঠিক ঠিকানা বা বর্তমান অবস্থান প্রবেশ করিয়ে ‘‘Order Now’’ তে ক্লিক করুন।
৩. প্যাকেজ নির্বাচন করুন: স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে ‘রেসিডেনশিয়াল’ ও ‘রোম’ নামের দুটি অপশন রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার ‘রোম’, অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ সেবার অনুমোদন এখনো দেয়নি।
এক্ষেত্রে ‘Residential’ বা ‘Residential Lite’ প্যাকেজ থেকে একটি নির্বাচন করতে হবে।
দাম ও মাসিক খরচ (বাংলাদেশ)
সেবা বা পণ্য | মূল্য (BDT) |
---|---|
প্রতি মাসে ইন্টারনেট ফি | ৬,০০০ টাকা |
স্টারলিংক স্ট্যান্ডার্ড কিট (ডিশ ও রাউটার) | ৪৭,০০০ টাকা |
ঐচ্ছিক মাউন্ট (পিভট) | ৬,৭০০ টাকা |
ঐচ্ছিক ওয়াল মাউন্ট | ৫,৯০০ টাকা |
পাইপ অ্যাডাপ্টার (ঐচ্ছিক) | ২,৬০০ টাকাবাংলাদেশে এখন স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করে ঘরে বসেই আপনি এই সেবা গ্রহণ করতে পরবেন। |
স্টারলিংক কী দেয়:
- প্রতি সেকেন্ডে ৩০০ Mbps পর্যন্ত স্পিড
- কম লেটেন্সি, যার মানে সহজে ভিডিও কল, গেম খেলা ও স্ট্রিমিং
- কোন ডেটা লিমিট নেই
- কোনও দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি নেই – ব্যবহার না করলে বন্ধ করা যাবে
কীভাবে বাংলাদেশে স্টারলিংক অর্ডার করবেন
- অফিসিয়াল Starlink ওয়েবসাইটে গিয়ে অর্ডার করতে হবে
- ৩০ দিনের ট্রায়াল আছে – ভালো না লাগলে ফেরত দেওয়া যাবে
- অর্ডার করার পরে ৩–৪ সপ্তাহে ডেলিভারি হবে
- এখন চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় সেবা চলছে, ভবিষ্যতে আরও এলাকায় আসবে
- অর্ডারের সময় ভ্যালিড আইডি ও ছবি দিতে হবে (নাম ও আইডি মেলানো লাগবে)
- সব তথ্য Starlink অ্যাকাউন্ট পোর্টালে দিতে হয়, না দিলে সেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে